বাংলাদেশের সর্বদক্ষিনের কারিগরি শিক্ষার সবচেয়ে বৃহৎ বিদ্যাপিঠ কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ২০০৪ সালে কম্পিউটার টেকনোলজি নিয়ে কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে আরএসি টেকনোলজি, ২০০৬ সালে সিভিল ও ফুড টেকনোলজি চালু করা হয়। ২০১৬ সালে ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং ২০২১ সালে ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজি চালু হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ০৫ টি টেকনোলজিতে মোট ৬০০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
২ একর জমির উপর স্থাপিত বিশাল অবকাঠামোর এই প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক ভবন-১, একাডেমিক ভবন-২, ওয়ার্কশপ- বিল্ডিং-২ ও অত্যাধুনিক মেশিন ও যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে মানসম্মত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। ক্যাম্পাসে কর্মচারীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। জ্ঞানাহরণের জন্য পাঠ্যপুস্তক সহ বিভিন্ন পুস্তক সমৃদ্ধ একটি সুপরিসর লাইব্রেরী, একটি মসজিদ, ফুলের বাগান রয়েছে, যা মেধা ও মননশীল মানবসম্পদ তৈরীতে সহায়ক ভূমিকা রেখে ইনস্টিটিটের শোভা ও মান ও বৃদ্ধি করছে।
বর্তমান বাংলাদেশ সরকার বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিষয়ক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পলিটেকনিক শিক্ষার উপর যে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে, কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কারিগরি শিক্ষার সেই গুরুত্ব লালন করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েট ও স্বল্পমেয়াদী ট্রেডকোর্স এর মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী করে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।